, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ , ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন; ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

  • আপলোড সময় : ২২-০৮-২০২৩ ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২২-০৮-২০২৩ ১১:৩৯:০০ পূর্বাহ্ন
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন; ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২১ আগস্ট) বিকাল ৪টায় ভিসি বাংলোয় জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান।
 
বহিষ্কৃতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬০তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে অভিযুক্ত ৫ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর অধ্যায়-২ এর ৮ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি এক (১) বছরের জন্য ৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। তবে এ সিদ্ধান্ত বিধিসম্মত হয়নি বলে হাইকোর্ট মন্তব্য করে এবং পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নবীন ছাত্রী ফুলপরি খাতুন রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ করা হয় বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে। এতে ৪ টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রতিটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মিলে এবং এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট হয়। এরপর তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার কেন করা হবেনা এ ব্যাপারে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ১২ জুন ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে মৌখিক বক্তব্য দিতে ক্যাম্পাসে আসেন সাময়িক বহিষ্কার হওয়া পাঁচ ছাত্রী। কমিটির কাছে তারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। কারণ দর্শানো নোটিশের লিখিত জবাব দেওয়ার পরও কোন বক্তব্য থাকলে তা জানতে এই বক্তব্য গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। সেখানে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুনেরও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এসময় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
 
সর্বশেষ সংবাদ
সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলায় ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা

সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলায় ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা